মুহাম্মাদ (সা) তারাবীহ (বিতরসহ) এগারো রাকআত পড়তেন
[প্রথম প্রকাশঃ ২ জুন ২০১৬ ইং; আর্টিকেলটি সংগৃহীত।]
মাসআলাঃ আমাদের ইমামে আযম মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এশার ছলাতের পর ফজর পর্যন্ত এগারো রাকআত পড়তেন।
দলীল-০১
উম্মুল মু’মিনীন আয়িশাহ রাযিআল্লাহু আনহা হ’তে বর্ণিত আছেঃ
উম্মুল মু’মিনীন আয়িশাহ রাযিআল্লাহু আনহা হ’তে বর্ণিত আছেঃ
كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي فِيمَا بَيْنَ أَنْ يَفْرُغَ مِنْ صَلَاةِ الْعِشَاءِ – وَهِيَ الَّتِي يَدْعُو النَّاسُ الْعَتَمَةَ – إِلَى الْفَجْرِ، إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً، يُسَلِّمُ بَيْنَ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ، وَيُوتِرُ بِوَاحِدَةٍরসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এশার ছলাত হ’তে অবসর হওয়ার পর ফজর পর্যন্ত এগারো রাকআত পড়তেন। আর এই ছলাতকে লোকেরা ‘আতামাহ’ও বলতেন। তিনি প্রত্যেক দু’রাকআতের উপর সালাম ফেরাতেন এবং এক রাকআত বিতর পড়তেন (ছহীহ মুসলিম হা/৭৩৪, ১/২৫৪)।
দলীল-০২
আবূ সালামাহ বিন আব্দুর রহমান উম্মুল মু’মিনীন সাইয়িদাহ আয়িশাহ রাযিআল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করলেন, রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রমযানের মধ্যে (রাতের) ছলাত (তারাবীহ) কেমন হ’ত? তখন উম্মুল মু’মিনীন আয়িশাহ রাযিআল্লাহু আনহা বললেন, مَا كَانَ يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلاَ فِي غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً রমযান হোক বা রমযান ব্যতিত হোক রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এগারো রাকআতের চাইতে অধিক পড়তেন না (ছহীহ বুখারী হা/২০১৩; উমদাতুল ক্বারী ১১/১২৮ ‘ছওম’অধ্যায় ‘তারাবীহ’ অনুচ্ছেদ)।
আবূ সালামাহ বিন আব্দুর রহমান উম্মুল মু’মিনীন সাইয়িদাহ আয়িশাহ রাযিআল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করলেন, রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রমযানের মধ্যে (রাতের) ছলাত (তারাবীহ) কেমন হ’ত? তখন উম্মুল মু’মিনীন আয়িশাহ রাযিআল্লাহু আনহা বললেন, مَا كَانَ يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلاَ فِي غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً রমযান হোক বা রমযান ব্যতিত হোক রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এগারো রাকআতের চাইতে অধিক পড়তেন না (ছহীহ বুখারী হা/২০১৩; উমদাতুল ক্বারী ১১/১২৮ ‘ছওম’অধ্যায় ‘তারাবীহ’ অনুচ্ছেদ)।
একটি অভিযোগঃ এই হাদীছটির সম্পর্ক তাহাজ্জুদের সাথে রয়েছে!
জবাবঃ তাহাজ্জুদ, তারাবীহ, ক্বিয়ামুল লাইল, ক্বিয়ামে রমযান ও বিতর একই ছলাতের ভিন্ন ভিন্ন নাম।
প্রমাণ-০১ঃ নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হ’তে তাহাজ্জুদ এবং তারাবীহ আলাদা আলাদা আদায় করা একেবারেই সাব্যস্থ নয়।
প্রমাণ-০২ঃ মুহাদ্দিছ ইমামগণ এবং অন্যান্য আলেমগণ সাইয়িদাহ আয়িশাহ রাযিআল্লাহু আনহা-র হাদীছের উপর ‘ক্বিয়ামে রমযান’ এবং ‘তারাবীহ’র অনুচ্ছেদসমূহ বেঁধেছেন। যেমনঃ
(০১) ছহীহ বুখারী, কিতাবুছ ছওম, কিতাবু ছলাতিত তারাবীহ (তারাবীহর অনুচ্ছেদ), ক্বিয়ামে রমযানের ফযীলত পরিচ্ছেদ।
(০২) মুয়াত্তা মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান আশ-শায়বানী (পৃঃ ১৪১, ক্বিয়ামে রমযান এবং এর ফযীলত এর অনুচ্ছেদ। আব্দুল হাই লাখনোভী এর উপর টীকা লিখেছেন, ‘ক্বিয়ামে রমযান এবং তারাবীহ একই।”
(০৩) বায়হাক্বী, আস-সুনানুল কুবরা (২/৪৯৫, ৪৯৬) ‘রমযান মাসের ক্বিয়ামের রাকআত সংখ্যা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে’ এর অনুচ্ছেদ।
(০২) মুয়াত্তা মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান আশ-শায়বানী (পৃঃ ১৪১, ক্বিয়ামে রমযান এবং এর ফযীলত এর অনুচ্ছেদ। আব্দুল হাই লাখনোভী এর উপর টীকা লিখেছেন, ‘ক্বিয়ামে রমযান এবং তারাবীহ একই।”
(০৩) বায়হাক্বী, আস-সুনানুল কুবরা (২/৪৯৫, ৪৯৬) ‘রমযান মাসের ক্বিয়ামের রাকআত সংখ্যা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে’ এর অনুচ্ছেদ।
প্রমাণ-৩ঃ পূর্ববর্তীদের মধ্য হ’তে কোন একজন মুহাদ্দিছ বা ফক্বীহ এটি বলেন নি যে, এই হাদীছের সম্পর্ক তারাবীর ছলাতের সাথে নয়।
প্রমাণ-৪ঃ এই হাদীছটিকে অসংখ্য আলেম বিশ রাকআত সম্বলিত বানোয়াট এবং মুনকার হাদীছের মোকাবেলায় বিপক্ষীয় দলীল হিসাবে পেশ করেছেন। যেমনঃ
০১. আল্লামা যায়লাঈ হানাফী (নাছবুর রায়াহ ২/১৫৩)।
০২. হাফেয ইবনে হাজার আসক্বালানী (আদ-দিরায়াহ ১/২০৩)।
০৩. আল্লামা ইবনে হুমাম হানাফী (ফাৎহুল ক্বাদীর ১/৪৬৭, প্রকাশনায়: দারুল ফিকর)।
০৪. আল্লামা আইনী হানাফী (উমদাতুল ক্বারী ১১/১২৮)।
০৫. আল্লামাহ সুয়ূত্বী (আল-হাবী লিল-ফাতাবী ১/৩৪৮ ইত্যাদি)।
০২. হাফেয ইবনে হাজার আসক্বালানী (আদ-দিরায়াহ ১/২০৩)।
০৩. আল্লামা ইবনে হুমাম হানাফী (ফাৎহুল ক্বাদীর ১/৪৬৭, প্রকাশনায়: দারুল ফিকর)।
০৪. আল্লামা আইনী হানাফী (উমদাতুল ক্বারী ১১/১২৮)।
০৫. আল্লামাহ সুয়ূত্বী (আল-হাবী লিল-ফাতাবী ১/৩৪৮ ইত্যাদি)।
প্রমাণ-৫ঃ প্রশ্নকর্তার প্রশ্ন স্রেফ ক্বিয়ামে রমযান সম্পর্কিত ছিল যাকে তারাবীহ বলে। তাহাজ্জুদ ছলাতের সম্পর্কে প্রশ্নকর্তা প্রশ্নই করেন নি। কিন্তু উম্মুল মু’মিনীন আয়িশাহ ছিদ্দীক্বা রাযিআল্লাহু আনহা জবাবের মধ্যে প্রশ্নের চাইতে অধিক ব্যাখ্যা দিয়ে দিলেন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রমযানের ক্বিয়াম এবং রমযান ব্যতিত ক্বিয়াম সম্পর্কে। সুতরাং এই হাদীছ থেকে এগারো রাকআত তারাবীহর প্রমাণ স্পষ্টভাবে মিলে।(খাতেমায়ে ইখতিলাফ পৃঃ ৬৪ সংক্ষেপিত)।
প্রমাণ-৬ঃ যে সকল লোকদের এই দাবি আছে যে, তাহাজ্জুদ এবং তারাবীহ আলাদা আলাদা ছলাত। তাদের উছূল অনুসারে রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ২৩ রাকআত তারাবীহ পড়েছিলেন (২০+৩)। যেমনটি এই লোকদের আমল রয়েছে। এবং একই রাতে এগারো রাকআত তাহাজ্জুদ পড়েছিলেন (৮+৩)। যেমনটি তাদের নিকটে ছহীহ বুখারীর হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয়।
এখানে প্রশ্ন এই যে, এভাবে তো অপরিহার্য হয়ে যায় যে, এক রাতে মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দু’ দফা বিতর পড়েছিলেন। অথচ নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, لَا وِتْرَانِ فِي لَيْلَةٍ একই রাতে দু’বার বিতর নেই (তিরমিযী, হা/৪৭০; আবূ দাঊদ, হা/১৩৪৯; নাসাঈ, হা/১৬৭৮; ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ, হা/১১০১; ছহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৬৭১, এর সনদ ছহীহ)।
এই হাদীছ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযী বলেছেন, “এই হাদীছটি হাসান গরীব।” স্মর্তব্য যে, এই হাদীছের সকল রাবী ছিক্বাহ।
যেহেতু রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা এবং কাজের মধ্যে বৈপরীত্য হ’তে পারে না, সেহেতু এটি প্রমাণিত হয়ে গেল যে, তিনি রাতে স্রেফ একবারই বিতর পড়তেন। তার থেকে স্রেফ এগারো রাকআত (৮+৩) প্রমাণিত আছে, ২৩ (২০+৩) নয়। অর্থাৎ ২৩ এবং ১১ সম্বলিত রেওয়ায়াতসমূহের মধ্যে স্রেফ এগারো রাকআত সংক্রান্ত রেওয়ায়াতগুলিই প্রমাণিত আছে। সুতরাং তাহাজ্জুদ এবং তারাবীর মাঝে পার্থক্য করা বাতিল।
প্রমাণ-৭ঃ আনওয়ার শাহ কাশ্মিরী দেওবন্দী এটি স্বীকার করেছেন যে, তাহাজ্জুদ এবং তারাবীহ একই ছলাত। এবং উভয়ের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। (দেখুন: ফায়যুল বারী, ২/৪২০; আল-আরফুশ শাযী, ১/১৬৬)। এটি প্রতিপক্ষদের ঘরের সাক্ষ্য। [অর্থাৎ হানাফীদের নিজেদেরই বড় আলেমের সাক্ষ্য এটি।-অনুবাদক] কাশ্মিীর উক্তিটির জবাব আজ পর্যন্ত কোন পক্ষ হ’তে আসে নি।
কবি বলেছেন, “ঘরে আগুন লেগেছে ঘরের চেরাগ দ্বারা”
প্রমাণ-৮ঃ সাইয়েদুনা আমীরুল মু’মিনীন ওমর ইবনুল খাত্তাব রাযিআল্লাহু আনহুও তাহাজ্জুদ এবং তারাবীহ উভয়কে একই অনুধাবন করতেন। (বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন: ফায়যুল বারী, ২/৪২০)।
প্রমাণ-৯ঃ কতিপয় আলেম ঐ ব্যক্তিকে তাহাজ্জুদ পড়তে নিষেধ করেছেন যে তারাবীহর ছলাত পড়েছে (মারওয়াযী, ক্বিয়ামুল লাইল, ফায়যুল বারীর বরাতে ২/৪২০)।
প্রমাণ-১০ঃ সাইয়েদুনা জাবের বিন আব্দুল্লাহ আল-আনছারী রাযিআল্লাহু আনহুর রেওয়ায়াত- صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ ثَمَانِ رَكَعَاتٍ وَالْوِتْر আমাদেরকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমযান মাসে আট রাকআত এবং এক রাকআত বিতর পড়িয়েছেন। এটিও তার সমর্থনকারী। যেমনটি সামনে বিস্তারিত সহকারে আসছে। সুতরাং এই হাদীছের সম্পর্ক তারাবীহর সাথে নিশ্চিৎরূপে রয়েছে।
দলীল-০৩
صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ ثَمَانِ رَكَعَاتٍ وَالْوِتْر সাইয়েদুনা জাবের বিন আব্দুল্লাহ আনছারী রাযিআল্লাহু আনহু হ’তে রেওয়ায়াত আছে যে, আমাদেরকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমযান মাসে আট রাকআত এবং এক রাকআত বিতর পড়িয়েছেন (ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ, হা/১০৭০; ছহীহ ইবনে হিব্বান, আল-ইহসান, হা/২৪০১, ২৪০৬)।
صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ ثَمَانِ رَكَعَاتٍ وَالْوِتْر সাইয়েদুনা জাবের বিন আব্দুল্লাহ আনছারী রাযিআল্লাহু আনহু হ’তে রেওয়ায়াত আছে যে, আমাদেরকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমযান মাসে আট রাকআত এবং এক রাকআত বিতর পড়িয়েছেন (ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ, হা/১০৭০; ছহীহ ইবনে হিব্বান, আল-ইহসান, হা/২৪০১, ২৪০৬)।
প্রথম অভিযোগঃ
“এর সনদে মুহাম্মাদ বিন হুমায়দ আর-রাযী আছেন (মারওয়াযী, মুখতাছারু ক্বিয়ামি রমযান, পৃঃ ১৯৭)। যিনি মহা মিথ্যুক।”
“এর সনদে মুহাম্মাদ বিন হুমায়দ আর-রাযী আছেন (মারওয়াযী, মুখতাছারু ক্বিয়ামি রমযান, পৃঃ ১৯৭)। যিনি মহা মিথ্যুক।”
জবাবঃ এই হাদীছটিকে ইয়াকূব বিন আব্দুল্লাহ আল-কুম্মী হ’তে মুহাম্মাদ বিন হুমায়দ ব্যতিত আরো অনেক রাবী বর্ণনা করেছেন। যেমনঃ
(০১) জাফর বিন হুমায়দ কুফী (ইবনে আদী, আল-কামিল ৫/১৮৮৯; ত্বাবারানী, আল-মুজামুল কাবীর ১/১৯০)।
(০২) আবুর রবী’ (আয-যাহরানী, মুসনাদু আবী ইয়ালা আল-মূছিলী, হা/১৮০১; ছহীহ ইবনে হিব্বান হা/২৪০১, ২৪০৬)।
(০৩) আব্দুল আলা বিন হাম্মাদ (মুসনাদু আবী ইয়ালা হা/১৮০১; ইবনে আদী, আল-কামিল, ৫/১৮৮৮)।
(০৪) মালেক বিন ইসমাঈল (ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ হা/১০৭০)।
(০৫) উবায়দুল্লাহ অর্থাৎ ইবনে মূসা (ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ হা/১০৭০)।
(০১) জাফর বিন হুমায়দ কুফী (ইবনে আদী, আল-কামিল ৫/১৮৮৯; ত্বাবারানী, আল-মুজামুল কাবীর ১/১৯০)।
(০২) আবুর রবী’ (আয-যাহরানী, মুসনাদু আবী ইয়ালা আল-মূছিলী, হা/১৮০১; ছহীহ ইবনে হিব্বান হা/২৪০১, ২৪০৬)।
(০৩) আব্দুল আলা বিন হাম্মাদ (মুসনাদু আবী ইয়ালা হা/১৮০১; ইবনে আদী, আল-কামিল, ৫/১৮৮৮)।
(০৪) মালেক বিন ইসমাঈল (ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ হা/১০৭০)।
(০৫) উবায়দুল্লাহ অর্থাৎ ইবনে মূসা (ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ হা/১০৭০)।
এই সকল রাবী ছিক্বাহ এবং সত্যবাদী। সুতরাং মুহাম্মাদ বিন হুমায়দ এর উপর অভিযোগটি ভুল এবং প্রত্যাখ্যাত।
দ্বিতীয় অভিযোগঃ
“এর সনদে ‘ইয়াকূব আল-কুম্মী’ যঈফ রাবী রয়েছেন। তার সম্পর্কে ইমাম দারাকুৎনী বলেছেন, তিনি শক্তিশালী নন।”
“এর সনদে ‘ইয়াকূব আল-কুম্মী’ যঈফ রাবী রয়েছেন। তার সম্পর্কে ইমাম দারাকুৎনী বলেছেন, তিনি শক্তিশালী নন।”
জবাবঃ ইয়াকূব আল-কুম্মী ছিক্বাহ। তাকে জমহুর আলেমগণ ছিক্বাহ বলেছেন। যেমনঃ
(০১) নাসাঈ বলেছেন, তাকে নিয়ে কোন অসুবিধা নেই।
(০২) আবুল ক্বাসেম আত-ত্বাবারানী বলেছেন, তিনি ছিক্বাহ।
(০৩) ইবনে হিব্বান ‘কিতাবুছ ছিক্বাত’গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন (এবং তার হাদীছকে ছহীহ বলেছেন)।
(০৪) জারীর বিন আব্দুল হামীদ তাকে ‘ফেরাউনের পরিবারের মুমিন’ বলতেন।
(০৫) ইবনে মাহদী তার থেকে রেওয়ায়াত করেছেন (তাহযীবুত তাহযীব, ১১/৩৪২, ৩৪৩)। আর ইবনে মাহদী স্রেফ ছিক্বাহ হ’তে রেওয়ায়াত করতেন (তাদরীবুর রাবী, ১/৩১৭)।
(০৬) হাফেয যাহাবী বলেছেন, তিনি সত্যবাদী (আল-কাশিফ ৩/২৫৫)।
(০৭) ইবনে খুযায়মাহ তার হাদীছকে হাসান বলেছেন।
(০৮) নূরুদ্দীন হায়ছামী তার হাদীছকে হাসান বলেছেন।
(০৯) ইমাম বুখারী তালীক বর্ণনাসমূহের মধ্যে তার থেকে বর্ণনা গ্রহণ করেছেন। এবং স্বীয় “আত-তারীখুল কাবীর”গ্রন্থে (রাবী নং ৩৪৪৩) তার বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন নি। সুতরাং তিনি তার নিকটে থানবীর কথানুসারে ছিক্বাহ। (দেখুন: যাফর আহমাদ থানবী, ক্বওয়ায়েদ ফী উলূমিল হাদীছ, পৃঃ ১৩৬)।
(১০) হাফেয ইবনে হাজার “ফাৎহুল বারী”গ্রন্থে (৩/১২, হা/১১২৯ এর অধীনে) তার মুনফারিদ (একক) হাদীছের উপর চুপ থেকেছেন। এবং এই চুপ থাকা (দেওবন্দীদের নিকটে) তার হাদীছকে হাসান আখ্যাদানের দলীল হয়ে থাকে (দেখুন: ক্বওয়ায়েদ ফী উলূমিল হাদীছ, পৃঃ ৫৫)।
(০১) নাসাঈ বলেছেন, তাকে নিয়ে কোন অসুবিধা নেই।
(০২) আবুল ক্বাসেম আত-ত্বাবারানী বলেছেন, তিনি ছিক্বাহ।
(০৩) ইবনে হিব্বান ‘কিতাবুছ ছিক্বাত’গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন (এবং তার হাদীছকে ছহীহ বলেছেন)।
(০৪) জারীর বিন আব্দুল হামীদ তাকে ‘ফেরাউনের পরিবারের মুমিন’ বলতেন।
(০৫) ইবনে মাহদী তার থেকে রেওয়ায়াত করেছেন (তাহযীবুত তাহযীব, ১১/৩৪২, ৩৪৩)। আর ইবনে মাহদী স্রেফ ছিক্বাহ হ’তে রেওয়ায়াত করতেন (তাদরীবুর রাবী, ১/৩১৭)।
(০৬) হাফেয যাহাবী বলেছেন, তিনি সত্যবাদী (আল-কাশিফ ৩/২৫৫)।
(০৭) ইবনে খুযায়মাহ তার হাদীছকে হাসান বলেছেন।
(০৮) নূরুদ্দীন হায়ছামী তার হাদীছকে হাসান বলেছেন।
(০৯) ইমাম বুখারী তালীক বর্ণনাসমূহের মধ্যে তার থেকে বর্ণনা গ্রহণ করেছেন। এবং স্বীয় “আত-তারীখুল কাবীর”গ্রন্থে (রাবী নং ৩৪৪৩) তার বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন নি। সুতরাং তিনি তার নিকটে থানবীর কথানুসারে ছিক্বাহ। (দেখুন: যাফর আহমাদ থানবী, ক্বওয়ায়েদ ফী উলূমিল হাদীছ, পৃঃ ১৩৬)।
(১০) হাফেয ইবনে হাজার “ফাৎহুল বারী”গ্রন্থে (৩/১২, হা/১১২৯ এর অধীনে) তার মুনফারিদ (একক) হাদীছের উপর চুপ থেকেছেন। এবং এই চুপ থাকা (দেওবন্দীদের নিকটে) তার হাদীছকে হাসান আখ্যাদানের দলীল হয়ে থাকে (দেখুন: ক্বওয়ায়েদ ফী উলূমিল হাদীছ, পৃঃ ৫৫)।
তৃতীয় অভিযোগঃ
“এই রেওয়ায়াতের সনদের মধ্যে ঈসা বিন জারিয়াহ যঈফ। এর উপর ইবনে মাঈন, আস-সাজী, উক্বায়লী, ইবনে আদী এবং আবূ দাঊদ সমালোচনা করেছেন। কতিপয় তাকে ‘মুনকারুল হাদীছ ও লিখেছেন।”
“এই রেওয়ায়াতের সনদের মধ্যে ঈসা বিন জারিয়াহ যঈফ। এর উপর ইবনে মাঈন, আস-সাজী, উক্বায়লী, ইবনে আদী এবং আবূ দাঊদ সমালোচনা করেছেন। কতিপয় তাকে ‘মুনকারুল হাদীছ ও লিখেছেন।”
জবাবঃ ঈসা বিন জারিয়াহ জমহুর আলেমদের নিকটে ছিক্বাহ, সত্যবাদী অথবা হাসানুল হাদীছ।
(০১) আবূ যুরআহ বলেছেন, তাকে নিয়ে কোন অসুবিধা নেই।
(০২) ইবনে হিব্বান ‘আছ-ছিক্বাত’ তথা ছিক্বাহ রাবীদের গ্রন্থে তাকে উল্লেখ করেছেন।
(০৩) ইবনে খুযায়মাহ তার হাদীছকে ছহীহ বলেছেন।
(০৪) হায়ছামী তার হাদীছকে ছহীহ বলেছেন (মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ২/৭২)। এবং বলেছেন, তিনি ছিক্বাহ (ঐ, ২/১৮৫)।
(০৫) বূছীরী যাওয়ায়েদে সুনানে ইবনে মাজাহ গ্রন্থে তার হাদীছকে হাসান বলেছেন (দেখুন হাদীছ নং ৪২৪১)।
(০৬) যাহাবী তার মুনফারিদ (এককভাবে বর্ণিত) হাদীছ সম্পর্কে ‘এর সনদ মধ্যম মানের”বলেছেন।
(০৭) বুখারী আত-তারীখুল কাবীর (৬/৩৮৫) গ্রন্থে তাকে উল্লেখ করেছেন। আর তার বিরুদ্ধে কোন সমালোচনা করেন নি।
(০৮) হাফেয ইবনে হাজার ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে তার হাদীছের উপর চুপ থেকেছেন (ঐ, ৩/১০, হা/১১২৯)।
(০৯) হাফেয মুনযিরী তার একটি হাদীছকে ‘জাইয়েদে সনদ” (দ্বারা বর্ণিত) বলেছেন (আত-তারগীবু ওয়াত-তারহীব, ১/৫০৭)।
(১০) আবূ হাতেম আর-রাযী তাকে উল্লেখ করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে কোন সমালোচনা করেন নি (দেখুন: আল-জারহু ওয়াত-তাদীল, ৬/২৭৩)। আবূ হাতেমের চুপ থাকা (দেওবন্দীদের নিকটে) রাবীর তাওছীক্ব হয়ে থাকে (যাফর আহমাদ থানভী, ক্বওয়ায়েদ ফী উলূমিল হাদীছ, পৃঃ ২৪৭)।
(১১) নিমাবী হানাফী তার বর্ণনাকৃত একটি হাদীছকে “এর সনদ ছহীহ” বলেছেন (আছারুস সুনান: ৯৬০, জাবের রাযিআল্লাহু আনহু হ’তে)। প্রতীয়মান হ’ল যে, এই সনদটি হাসান।
(০১) আবূ যুরআহ বলেছেন, তাকে নিয়ে কোন অসুবিধা নেই।
(০২) ইবনে হিব্বান ‘আছ-ছিক্বাত’ তথা ছিক্বাহ রাবীদের গ্রন্থে তাকে উল্লেখ করেছেন।
(০৩) ইবনে খুযায়মাহ তার হাদীছকে ছহীহ বলেছেন।
(০৪) হায়ছামী তার হাদীছকে ছহীহ বলেছেন (মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ২/৭২)। এবং বলেছেন, তিনি ছিক্বাহ (ঐ, ২/১৮৫)।
(০৫) বূছীরী যাওয়ায়েদে সুনানে ইবনে মাজাহ গ্রন্থে তার হাদীছকে হাসান বলেছেন (দেখুন হাদীছ নং ৪২৪১)।
(০৬) যাহাবী তার মুনফারিদ (এককভাবে বর্ণিত) হাদীছ সম্পর্কে ‘এর সনদ মধ্যম মানের”বলেছেন।
(০৭) বুখারী আত-তারীখুল কাবীর (৬/৩৮৫) গ্রন্থে তাকে উল্লেখ করেছেন। আর তার বিরুদ্ধে কোন সমালোচনা করেন নি।
(০৮) হাফেয ইবনে হাজার ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে তার হাদীছের উপর চুপ থেকেছেন (ঐ, ৩/১০, হা/১১২৯)।
(০৯) হাফেয মুনযিরী তার একটি হাদীছকে ‘জাইয়েদে সনদ” (দ্বারা বর্ণিত) বলেছেন (আত-তারগীবু ওয়াত-তারহীব, ১/৫০৭)।
(১০) আবূ হাতেম আর-রাযী তাকে উল্লেখ করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে কোন সমালোচনা করেন নি (দেখুন: আল-জারহু ওয়াত-তাদীল, ৬/২৭৩)। আবূ হাতেমের চুপ থাকা (দেওবন্দীদের নিকটে) রাবীর তাওছীক্ব হয়ে থাকে (যাফর আহমাদ থানভী, ক্বওয়ায়েদ ফী উলূমিল হাদীছ, পৃঃ ২৪৭)।
(১১) নিমাবী হানাফী তার বর্ণনাকৃত একটি হাদীছকে “এর সনদ ছহীহ” বলেছেন (আছারুস সুনান: ৯৬০, জাবের রাযিআল্লাহু আনহু হ’তে)। প্রতীয়মান হ’ল যে, এই সনদটি হাসান।
[আব্দুল মতীন ছাহেব ঈসা বিন জারিয়াকে দুর্বল বলেছেন। যা সঠিক নয় (দলিলসহ নামাযের মাসায়েল পৃঃ ৪৪২)।-অনুবাদক]
দলীল-০৪
সাইয়েদুনা উবাই বিন কা‘ব রাযিআল্লাহু আনহু হ’তে রেওয়ায়াত আছে যে, আমি রমযানের মধ্যে আট রাকআত এবং বিতর পড়েছি। এবং নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললাম, তখন তিনি কিছুই বললেন না। অতএব এটি সন্তুষ্টিমূলক সুন্নাত হয়ে গেল (মুসনাদু আবী ইয়ালা, হা/১৮০১)।
সাইয়েদুনা উবাই বিন কা‘ব রাযিআল্লাহু আনহু হ’তে রেওয়ায়াত আছে যে, আমি রমযানের মধ্যে আট রাকআত এবং বিতর পড়েছি। এবং নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললাম, তখন তিনি কিছুই বললেন না। অতএব এটি সন্তুষ্টিমূলক সুন্নাত হয়ে গেল (মুসনাদু আবী ইয়ালা, হা/১৮০১)।
আল্লামা হায়ছামী এই হাদীছ সম্পর্কে বলেছেন, رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى وَالطَّبَرَانِيُّ بِنَحْوِهِ فِي الْأَوْسَطِ وَإِسْنَادُهُ حَسَنٌ একে আবূ ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। এবং একে ত্বাবারানী আল-আওসাত্ব গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সনদটি হাসান (মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ২/৭৪)।
এই হাদীছটির সনদ ঐটিই যেটি জাবের রাযিআল্লাহু আনহুর হাদীছে রয়েছে। (দেখুন দলীল নং ৩)।
সরফরায ছফদর দেওবন্দী লিখেছেন, “স্বীয় যামানায় যদি আল্লামা হায়ছামীর (হাদীছের) শুদ্ধতা এবং দুর্বলতা পর্যবেক্ষণ না থাকত তবে আর কার ছিল? (আহসানুল কালাম, ১/২৩৩; তাওযীহুল কালাম, ১/২৭৯)।
দলীল-০৫
সাইয়েদুনা আমীরুল মু’মিনীন ওমর ইবনুল খাত্তাব রাযিআল্লাহু আনহু সাইয়েদুনা উবাই বিন কা‘ব এবং সাইয়েদুনা তামীমুদ দারী রাযিআল্লাহু আনহুমাকে হুকুম দিয়েছিলেন যে লোকদেরকে (রমযানে রাতের সময়) এগারো রাকআত পড়াবে (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/২৪৯; বায়হাক্বী, আস-সুনানুল কুবরা, ২/৪৯৬)। এই হাদীছটি অস্যংখ্য গ্রন্থে বিদ্যমান আছে। যেমনঃ
সাইয়েদুনা আমীরুল মু’মিনীন ওমর ইবনুল খাত্তাব রাযিআল্লাহু আনহু সাইয়েদুনা উবাই বিন কা‘ব এবং সাইয়েদুনা তামীমুদ দারী রাযিআল্লাহু আনহুমাকে হুকুম দিয়েছিলেন যে লোকদেরকে (রমযানে রাতের সময়) এগারো রাকআত পড়াবে (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/২৪৯; বায়হাক্বী, আস-সুনানুল কুবরা, ২/৪৯৬)। এই হাদীছটি অস্যংখ্য গ্রন্থে বিদ্যমান আছে। যেমনঃ
(০১) শারহু মাআনিল আছার (১/২৯৩)। তিনি এর দ্বারা দলীল পেশ করেছেন।
(০২) হাফেয যিয়াউল মাক্বদেসী, আল-মুখতারাহ (কানযুল উম্মালের বরাতে হা/২৩৪৬৫)।
(০৩) বায়হাক্বী, মারিফাতুস সুনান ওয়াল আছার, (হা/১৩৬৬)।
(০৪) মারওয়াযী, ক্বিয়ামুল লাইল (পৃঃ ২০০)।
(০৫) মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক্ব (হা/২৩৪৬৫, কানযুল উম্মালের বরাতে)।
(০৬) মিশকাতুল মাছাবীহ (হা/১৩০২)।
(০৭) বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ (হা/৯৯০)।
(০৮) যাহাবী, আল-মুহাযযাব ফী ইখতিছারিস সুনান আল-কাবীর (২/৪৬১)।
(০৯) কানযুল উম্মাল (হা/২৩৪৬৫)।
(১০) নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা (হা/৪৬৮৭)। এই ফারূক্বী বিধানটির সনদ একেবারেই ছহীহ।
(০২) হাফেয যিয়াউল মাক্বদেসী, আল-মুখতারাহ (কানযুল উম্মালের বরাতে হা/২৩৪৬৫)।
(০৩) বায়হাক্বী, মারিফাতুস সুনান ওয়াল আছার, (হা/১৩৬৬)।
(০৪) মারওয়াযী, ক্বিয়ামুল লাইল (পৃঃ ২০০)।
(০৫) মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক্ব (হা/২৩৪৬৫, কানযুল উম্মালের বরাতে)।
(০৬) মিশকাতুল মাছাবীহ (হা/১৩০২)।
(০৭) বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ (হা/৯৯০)।
(০৮) যাহাবী, আল-মুহাযযাব ফী ইখতিছারিস সুনান আল-কাবীর (২/৪৬১)।
(০৯) কানযুল উম্মাল (হা/২৩৪৬৫)।
(১০) নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা (হা/৪৬৮৭)। এই ফারূক্বী বিধানটির সনদ একেবারেই ছহীহ।
দলীল-০১ঃ এর সকল রাবী অত্যন্ত শক্তিশালী প্রকারের ছিক্বাহ রাবী।
দলীল-০২ঃ এই সনদের কোন রাবীর উপর কোন সমালোচনা নেই।
দলীল-০৩ঃ এই সনদের সাথে একটি হাদীছ ছহীহ বুখারীর ‘কিতাবুল হাজ্জ’ এর মধ্যেও বিদ্যমান আছে (হা/১৮৫৮)।
দলীল-০৪ঃ শাহ ওয়ালিউল্লাহ আদ-দেহলভী “আহলুল হাদীছ” হ’তে বর্ণনা করেছেন যে, মুয়াত্তার সকল হাদীছ ছহীহ (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ ২/২৪১, উর্দূ)।
দলীল-০৫ঃ ত্বাহাবী হানাফী “সুতরাং প্রমাণ করছে” বলে এই আছারটি হুজ্জাত তথা দলীলস্বরূপ পেশ করেছেন (মাআনিল আছার, ১/১৯৩)।
দলীল-০৬ঃ যিয়াউল মাক্বদেসী ‘আল-মুখতারাহ’ গ্রন্থে এই আছারটি এনে নিজের কাছে এর ছহীহ হওয়া প্রমাণ করে দিয়েছেন (দেখুন: ইখতিছারু উলূমিল হাদীছ পৃঃ ৭৭)।
দলীল-০৭ঃ ইমাম তিরমিযী এরকম একটি সনদ সম্পর্কে বলেছেন, “হাসান ছহীহ (হা/৯২৬)।”
দলীল-০৮ঃ এই রেওয়ায়াতটিকে পূর্বেবর্তীদের মধ্য হ’তে কোন একজন মুহাদ্দিছও যঈফ বলেন নি।
দলীল-০৯ঃ আল্লামাহ বাজী এই আছারটিকে গ্রহণ করেছেন (মুয়াত্তা, শারহুয যুরক্বানী, হা/২৪৯)।
দলীল-১০ঃ প্রসিদ্ধ গায়ের আহলেহাদীছ মুহাম্মাদ বিন আলী আন-নিমাবী (মৃঃ ১৩২২ হিঃ) এই বর্ণনা সম্পর্কে বলেছেন, এর সনদটি ছহীহ (আছারুস সুনান পৃঃ ২৫০)।
দলীল-০২ঃ এই সনদের কোন রাবীর উপর কোন সমালোচনা নেই।
দলীল-০৩ঃ এই সনদের সাথে একটি হাদীছ ছহীহ বুখারীর ‘কিতাবুল হাজ্জ’ এর মধ্যেও বিদ্যমান আছে (হা/১৮৫৮)।
দলীল-০৪ঃ শাহ ওয়ালিউল্লাহ আদ-দেহলভী “আহলুল হাদীছ” হ’তে বর্ণনা করেছেন যে, মুয়াত্তার সকল হাদীছ ছহীহ (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ ২/২৪১, উর্দূ)।
দলীল-০৫ঃ ত্বাহাবী হানাফী “সুতরাং প্রমাণ করছে” বলে এই আছারটি হুজ্জাত তথা দলীলস্বরূপ পেশ করেছেন (মাআনিল আছার, ১/১৯৩)।
দলীল-০৬ঃ যিয়াউল মাক্বদেসী ‘আল-মুখতারাহ’ গ্রন্থে এই আছারটি এনে নিজের কাছে এর ছহীহ হওয়া প্রমাণ করে দিয়েছেন (দেখুন: ইখতিছারু উলূমিল হাদীছ পৃঃ ৭৭)।
দলীল-০৭ঃ ইমাম তিরমিযী এরকম একটি সনদ সম্পর্কে বলেছেন, “হাসান ছহীহ (হা/৯২৬)।”
দলীল-০৮ঃ এই রেওয়ায়াতটিকে পূর্বেবর্তীদের মধ্য হ’তে কোন একজন মুহাদ্দিছও যঈফ বলেন নি।
দলীল-০৯ঃ আল্লামাহ বাজী এই আছারটিকে গ্রহণ করেছেন (মুয়াত্তা, শারহুয যুরক্বানী, হা/২৪৯)।
দলীল-১০ঃ প্রসিদ্ধ গায়ের আহলেহাদীছ মুহাম্মাদ বিন আলী আন-নিমাবী (মৃঃ ১৩২২ হিঃ) এই বর্ণনা সম্পর্কে বলেছেন, এর সনদটি ছহীহ (আছারুস সুনান পৃঃ ২৫০)।
সুতরাং কতিপয় গোড়া লোকদের পনেরোশ শতাব্দীতে একে মুযত্বারিব বলা বাতিল এবং ভিত্তিহীন।
খোলাফায়ে রাশেদীনদের সুন্নাত
রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,فَمَنْ أَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْكُمْ فَعَلَيْهِ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ المَهْدِيِّينَ، عَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ তোমাদের মধ্য হ’তে যে এই ইখতিলাফ পাবে, তার উপর আবশ্যক যে, সে আমার সুন্নাত এবং হেদায়াতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনদের সুন্নাতকে অবশ্যই আঁকড়ে ধরবে (সুনানে তিরমিযী হা/২৬৭৬)।
রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,فَمَنْ أَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْكُمْ فَعَلَيْهِ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ المَهْدِيِّينَ، عَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ তোমাদের মধ্য হ’তে যে এই ইখতিলাফ পাবে, তার উপর আবশ্যক যে, সে আমার সুন্নাত এবং হেদায়াতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনদের সুন্নাতকে অবশ্যই আঁকড়ে ধরবে (সুনানে তিরমিযী হা/২৬৭৬)।
এই হাদীছ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযী বলেছেন, “এই হাদীছটি হাসান ছহীহ।” স্মর্তব্য যে, সাইয়েদুনা ওমর রাযিআল্লাহু আনহুর খোলাফায়ে রাশেদ হওয়া ছহীহ দলীল দ্বারা প্রমাণিত আছে। এবং এর পক্ষে মুসলমানদের ইজমা আছে।
অন্য একটি হাদীছে আছে যে, اقْتَدُوا بِاللَّذَيْنِ مِنْ بَعْدِي أَبِي بَكْرٍ، وَعُمَر নবী কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার পরে এই দুই ব্যক্তি আবূ বকর এবং ওমরের আনুগত্য কর (সুনানে তিরমিযী, হা/৩৬৬২; ইবনে মাজাহ, হা/৯৭)।
এই হাদীছ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযী বলেছেন, এটি হাসান হাদীছ।
সুতরাং সাবেত হ’ল যে, ফারূক্বী বিধানও মারফূ হাদীছের বিধানের মধ্যে রয়েছে। যখন মারফূ হাদীছসমূহও এর সমর্থন করছে এবং একটিও ছহীহ মারফূ হাদীছ এর বিরোধী নয়।
দলীল-০৬
সাইয়েদুনা আস-সায়েব বিন ইয়াযীদ (ছাহাবী) রাযিআল্লাহু আনহু হ’তে বর্ণনা আছে, كُنَّا نَقُومُ فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ بِإِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً আমরা (ছাহাবা রাযিআল্লাহু আনহুম) ওমর বিন খাত্তাবের যুগে এগারো রাকআত পড়তাম (সুনানে সাঈদ বিন মানছূর, আল-হাবী লিল-ফাতাবীর বরাতে ১/৩৪৯; হাশিয়া আছারুস সুনান, পৃঃ ২৫০)।
সাইয়েদুনা আস-সায়েব বিন ইয়াযীদ (ছাহাবী) রাযিআল্লাহু আনহু হ’তে বর্ণনা আছে, كُنَّا نَقُومُ فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ بِإِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً আমরা (ছাহাবা রাযিআল্লাহু আনহুম) ওমর বিন খাত্তাবের যুগে এগারো রাকআত পড়তাম (সুনানে সাঈদ বিন মানছূর, আল-হাবী লিল-ফাতাবীর বরাতে ১/৩৪৯; হাশিয়া আছারুস সুনান, পৃঃ ২৫০)।
এই রেওয়ায়াতের সকল রাবী জমহুর বিদ্বানদের নিকটে নির্ভরযোগ্য এবং সত্যবাদী।
জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী (মৃঃ ৯১১ হিঃ) এই রেওয়ায়াত সম্পর্কে লিখেছেন, “আর এটি (এগারো রাকআতের বর্ণনাটি) মুছান্নাফ সাঈদ বিন মানছূরের মধ্যে অত্যন্ত ছহীহ সনদের সাথে আছে (সুয়ূত্বী, আল-মাছাবীহ ফী ছলাতিত তারাবীহ পৃঃ ১৫; আল-হাবী লিল-ফাতাবী, ১/৩৫০)।
সুতরাং প্রমাণিত হয়েছে যে, এগারো রাকআত ক্বিয়ামে রমযান (তারাবীহ) এর উপর ছাহাবায়ে কেরামের ইজমা আছে। আল্লাহ তাদের সবার উপর সন্তুষ্ট হোন।
দলীল-০৭
মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ (মৃঃ ২৩৫ হিঃ) গ্রন্থে আছে যে, أَنَّ عُمَرَ جَمَعَ النَّاسَ عَلَى أُبَيٍّ وَتَمِيمٍ فَكَانَا يُصَلِّيَانِ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً নিশ্চয়ই ওমর রাযিআল্লাহু আনহু লোকদেরকে উবাই (বিন কাব) এবং তামীম (আদ-দারী) রাযিআল্লাহু আনহুমার উপর একত্রিত করেছেন। তাই উভয় এগারো রাকআত পড়াতেন (হা/৭৬৭০)।
মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ (মৃঃ ২৩৫ হিঃ) গ্রন্থে আছে যে, أَنَّ عُمَرَ جَمَعَ النَّاسَ عَلَى أُبَيٍّ وَتَمِيمٍ فَكَانَا يُصَلِّيَانِ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً নিশ্চয়ই ওমর রাযিআল্লাহু আনহু লোকদেরকে উবাই (বিন কাব) এবং তামীম (আদ-দারী) রাযিআল্লাহু আনহুমার উপর একত্রিত করেছেন। তাই উভয় এগারো রাকআত পড়াতেন (হা/৭৬৭০)।
দলীল-০৮
নবী কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হ’তে বিশ রাকআত তারাবীহ আদৌ প্রমাণিত নয়। আনওয়ার শাহ কাশ্মিরী দেওবন্দী বলেছেন, আর বিশ রাকআত – এটি মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হ’তে যঈফ সনদে বর্ণিত। আর এর দুর্বল হওয়ার উপর ঐক্যমত রয়েছে (আল-আরফুশ শাযী ১/১৬৬)।
নবী কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হ’তে বিশ রাকআত তারাবীহ আদৌ প্রমাণিত নয়। আনওয়ার শাহ কাশ্মিরী দেওবন্দী বলেছেন, আর বিশ রাকআত – এটি মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হ’তে যঈফ সনদে বর্ণিত। আর এর দুর্বল হওয়ার উপর ঐক্যমত রয়েছে (আল-আরফুশ শাযী ১/১৬৬)।
সুতরাং বিশ রাকআত সম্বলিত রেওয়ায়াতকে উম্মাতে মুসলিমা “তালাক্কী বির-রাদ্দ” তথা বর্জন করেছেন। অর্থাৎ উম্মাতে মুসলিমাহ একে ঐক্যমতানুসারে বর্জন করেছেন।
ত্বাহত্বাবী হানাফী এবং মুহাম্মাদ আহসান নানূতুবী বলেছেন, কেননা মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ রাকআত পড়েননি বরং আট (রাকআত পড়েছেন)। (হাশিয়াতুত ত্বাহত্বাবী আলাদ দুর্রিল মুখতার, ১/২৯৫; হাশিয়াহ কানযুদ দাক্বায়েক্ব পৃঃ ৩৬, টীকা-৪)।
খলীল আহমাদ সাহারানপুরী দেওবন্দী বলেছেন, আর আট রাকআত তারাবীর সুন্নাতে মুয়াক্কাদা হওয়া তো ঐক্যমত প্রাপ্ত (বারাহীনে ক্বাতিআহ, পৃঃ ১৯৫; উপরন্তু দেখুন: পৃঃ ১০৯)।
আব্দুশ শাকূর লাখনোভী বলেছেন, “যদিচ নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হ’তে আট রাকআত তারাবীহ মাসনূন রয়েছে। এবং একটি যঈফ রেওয়ায়াতের মধ্যে ইবনে আব্বাস হ’তে বিশ রাকআতও আছে” (ইলমুল ফিক্বহ পৃঃ ১৯৮)।
এই উদ্ধৃতিটি ইলযামী হিসাবে পেশ করা হয়েছে।
দলীল-০৯
আমীরুল মু’মিনীন সাইয়েদুনা ওমর বিন খাত্তাব রাযিআল্লাহু আনহু হ’তে ছহীহ এবং মুত্তাছিল সনদে বিশ রাকআত তারাবীহ নিশ্চিৎরূপে প্রমাণিত নেই। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আনছারী এবং ইয়াযীদ বিন রূমান – এর রেওয়ায়াতসমূহ মুনক্বাত্বি বা বিচ্ছিন্ন (এই কথাটি হানাফী তাক্বলীদী আলেমগণও স্বীকার করেছেন)। এবং অবশিষ্ট যা কিছু আছে তা না খলীফার হুকুম আর না খলীফার আমল আর না খলীফার সম্মুখে লোকেরা আমল করেছেন। যঈফ এবং মুনক্বাত্বি রেওয়ায়াতসমূহকে ঐ ব্যক্তিই পেশ করেন যিনি খোদ যঈফ এবং মুনক্বাত্বি।
আমীরুল মু’মিনীন সাইয়েদুনা ওমর বিন খাত্তাব রাযিআল্লাহু আনহু হ’তে ছহীহ এবং মুত্তাছিল সনদে বিশ রাকআত তারাবীহ নিশ্চিৎরূপে প্রমাণিত নেই। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আনছারী এবং ইয়াযীদ বিন রূমান – এর রেওয়ায়াতসমূহ মুনক্বাত্বি বা বিচ্ছিন্ন (এই কথাটি হানাফী তাক্বলীদী আলেমগণও স্বীকার করেছেন)। এবং অবশিষ্ট যা কিছু আছে তা না খলীফার হুকুম আর না খলীফার আমল আর না খলীফার সম্মুখে লোকেরা আমল করেছেন। যঈফ এবং মুনক্বাত্বি রেওয়ায়াতসমূহকে ঐ ব্যক্তিই পেশ করেন যিনি খোদ যঈফ এবং মুনক্বাত্বি।
দলীল-১০
কোন একজন ছাহাবী হ’তেও ছহীহ, মুত্তাছিল সনদের সাথে বিশ রাকআত তারাবীহ আদৌ প্রমাণিত হয়নি।
সুতরাং প্রমাণিত হ’ল যে, এগারো রাকআত হ’ল রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত, খোফায়ে রাশেদীন এবং ছাহাবাগণের (রাযিআল্লাহু আনহুম) সুন্নাত।
কোন একজন ছাহাবী হ’তেও ছহীহ, মুত্তাছিল সনদের সাথে বিশ রাকআত তারাবীহ আদৌ প্রমাণিত হয়নি।
সুতরাং প্রমাণিত হ’ল যে, এগারো রাকআত হ’ল রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত, খোফায়ে রাশেদীন এবং ছাহাবাগণের (রাযিআল্লাহু আনহুম) সুন্নাত।
আবূ বকর ইবনুল আরাবী (মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) চমৎকার বলেছেন, “আর বিশুদ্ধ কথা এই যে, এগারো রাকআত পড়াই হল উচিত। এটি হ’ল নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছলাত এবং ক্বিয়াম। আর এ ব্যতিত যে সংখ্যাগুলি রয়েছে সেগুলির কোন ভিত্তি নেই (আরেযাতুল আহওয়াযী শারহু তিরমিযী, ৪/১৯)।
ইমাম মালেক রহিমাহুল্লাহ হ’তে বর্ণিত আছে যে, আমি আমার জন্যে তাই নির্ধারণ করছি যার উপর ঊমর বিন খাত্তাব রাযিআল্লাহু আনহু লোকদেরকে একত্রিত করেছিলেন। আর তা হচ্ছে এগার রাকআত। এটিই হ’ল রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছলাত। আর আমি জানি না যে কে এত অধিক রাকআত নতুনভাবে আবিস্কার করেছেন। (কিতাবুত তাহাজ্জুদ, পৃষ্ঠা ১৭৬, হা/৮৯০; অপর একটি নূসখায় পৃ: ২৮৭)।
সম্মানিত পাঠক!
অসংখ্য আলেম (হানাফী আলেমগণ সহ) হ’তে এগারো রাকআত (তারাবীহ) এর সুন্নাত হওয়া প্রমাণিত আছে। আমাদের পেয়ারা নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং খোলাফায়ে রাশেদীন এবং ছাহাবায়ে কেরামগণ (রাযিআল্লাহু আনহুম) হ’তে এগারো রাকআত প্রমাণিত আছে। যেমনটি উপরে আলোচিত হয়েছে। সে জন্য কোন আলেমের বরাত দেওয়ার কোন প্রয়োজন এখানে নেই।
মূলঃ নূরুল মাছাবীহ ফী মাসআলাতিত তারাবীহ
লেখকঃ শায়েখ যুবায়ের আলী যাই (রহঃ)
অনুবাদ ও পরিবেশনায়ঃ সত্যান্বেষী রিসার্চ টীম
© Shottanneshi – সত্যান্বেষী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Comments
Post a Comment